ঘুরে এলাম সাদা পাথরের স্বর্গরাজ্য সিলেটের ভোলাগঞ্জ - সাইফ ব্লগ

Latest

Monday, October 14, 2019

ঘুরে এলাম সাদা পাথরের স্বর্গরাজ্য সিলেটের ভোলাগঞ্জ


গত ০৮.১০.২০১৯ ইং পূজার ছুটি উপভোগ করতে আমি এবং আমার বন্ধু রনি সিলেট ভ্রমণে বের হই ।
সিলেট ভ্রমণে আমরা সিলেটের ভোলাগঞ্জ , জৈন্তা হিল , জাফলং , শাহাজালাল মাজার সহ আরও কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করি । এটি ছিল সিলেটে আমার ১২ তম ভ্রমণ ।এর আগে বিছনাকান্দি, রাতারগুল জলাবন, পান্থুমাই ঝর্না, লোভাছড়া, উতমাছড়া , মাধবকুন্ড ঝর্না, লালাখাল,শ্রীমঙ্গল, সুনামগঞ্জ সহ প্রায় সব স্থান ভ্রমণ করি ।
আজ ভোলাগঞ্জ ভ্রমণের বিস্তারিত লিখছি।
আমরা দুজন ফেনি স্টেশন থেকে রাত ১১.২০ মিনিটে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা শুরু করি। সারারাত ট্রেনে কাটিয়ে আমরা সকাল ৭ টায় সিলেট স্টেশনে পৌছাই। স্টেশন থেকে আমরা রিকশায় করে  সিলেটের ঐতিহ্যবাহী  ক্বীন ব্রীজ পর্যন্ত যাই।
ক্বীন ব্রীজ , সিলেট সার্কিট হাউজ, সুরমা নদীর পাড়ে কিছু সময় কাটিয়ে আমরা আবার রিকশা নিয়ে বন্দর বাজার চলে যাই । বন্দর বাজার গিয়ে আমরা হোটেল আল মিনারে উঠি । এখানকার হোটেল ভাড়া খুবই কম । মাত্র ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকায় ভাল রুম পাওয়া যায়। হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করার জন্য আমরা সিলেটের বিখ্যাত পানশী হোটেলে যাই । পানশী এবং পাঁচ ভাই হোটেল খাওয়ার জন্য সেরা। এখানে ২৫-৩০ রকমের ভর্তা পাওয়া যায়। মাত্র ৩০ টাকায় ভুনা খিচুড়ী,  ১১০ টাকায় চিকেন বিরিয়ানী পাওয়া যায়। খাবারের মান অসাধারণ।
সকালের নাস্তা সেরে আমরা ভোলাগঞ্জে যাওয়ার জন্য আম্বরখানা পয়েন্টে চলে যাই । ভোলাগঞ্জে যাওয়ার
 সি এন জি ভাড়া রিজার্ভ ৬০০-৭০০ টাকা শুধু যাওয়া আর লোকাল জনপ্রতি ১৩০ টাকা ।


আমরা আরো তিনজন পর্যটক পেয়ে যাই ওরাও ভোলাগঞ্জ যাবে। ৫ জন মিলে একটা সি এন জি রিজার্ভ করি ।
এরপর ভোলাগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। যেতে যেতে চা বাগানের সৌন্দর্য্য ,সিলেট বিমানবন্দরের ভিতরের দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করি । প্রায় দেড় ঘন্টা পর আমরা ভোলাগঞ্জে পৌছাই। তখন সময় দুপুর ১ টা । আমরা দুপুরের খাবার সেরে নিই।

এরপর সাদাপাথরের স্পটে মানে জিরো পয়েন্টে যাওয়ার জন্য নৌকা ভাড়া করি । যাওয়া ও আসা একজন ১০০ টাকা । এখানকার নৌকা ভাড়া প্রতি নৌকা ৮০০ টাকা যাওয়া আসা । প্রতি নৌকায় ৮ জন যেতে পারে তাই আমরা পাঁচজন আরো তিনজনসহ মোট আটজন মিলে নৌকা ভাড়া করি । প্রায় ১৫ মিনিট পর ধলাই নদীর নীলাভ স্বচ্ছ পানি আর মেঘালয় পাহাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে  আমরা জিরো পয়েন্টে পৌছে যাই ।
জিরো পয়েন্টের সৌন্দর্য্য বর্ণনা করে শেষ করা যাবেনা।
মেঘালয় পাহাড়ের বিভিন্ন রূপ, ঝর্নার স্রোতধারা, সাদা পাথরের সৌন্দর্য্য, ধলাই নদীর নীলাভ জলের দৃশ্য যেকোন ভ্রমণপিয়াসুকে মুগ্ধ করবে।

এ জায়গাটা অন্য পর্যটন স্পটগুলোর তুলনায় অনেক সুন্দর । ইন্ডিয়ার চেরাপুঞ্জি থেকে বয়ে আসা ঝর্নার স্বচ্ছ শীতল পানিতে গা ভিজিয়ে বিকাল ৪ টায় সিলেটের উদ্দেশ্যে আবার যাত্রা শুরু করি । বিকাল ৫ টায় মালনীছড়া চা বাগানে নেমে চা বাগান , সিলেট স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে হোটেলে ফিরে আসি। ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য জিন্দাবাজারে পাঁচভাই হোটেলে যাই। ওখানে হরেক রকম ভর্তা আর বোয়াল মাছ দিয়ে রাতের খাবার সেরে শাহজালাল মাজারে চলে যাই ।
 মাজার জিয়ারত করে হোটেলে যাই এবং পরদিন সকালে জাফলংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। 
=================================
সাইফ ভূঁঞা