
পাহাড় কত সুন্দর আর পাহাড়ের কত রূপ তা দেখতে হলে সাজেক ভ্যালি আসুন । আমার মত ভ্রমণ পিপাসুদের মত যারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য সাজেক ভ্যালি খুব উপভোগ্য হবে।
সাজেকের সৌন্দর্য এর কথা বলে শেষ করা যাবেনা।
চোখ জুড়ানো সৌন্দর্যের নাম সাজেক ভ্যালি। ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সীমান্তবর্তী এই উপত্যকা পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত। সমতল থেকে প্রায় তিন হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় সাজেক হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। এর আয়তন ৭০২বর্গমাইল ।
সাজেকে দর্শনীয় স্থান: সাজেকে সর্বত্র মেঘ, পাহাড় আর সবুজের দারুণ মিতালী চোখে পড়ে । এখানে
তিনটি হেলিপ্যাড বিদ্যমান ; যা থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য
প্রত্যক্ষ করা যায় । সাজেকে একটা ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা হচ্ছে এখানে ২৪
ঘণ্টায় প্রকৃতির তিনটা রূপই দেখা মিলে । কখনো খুবই গরম, একটু পরেই হঠাৎ
বৃষ্টি এবং তার কিছু পরেই হয়তো চারদিকে ঢেকে যায় মেঘের চাদরে ; মনে হয় যেন
একটা মেঘের উপত্যকা । সাজেকের রুইলুই পাড়া থেকে ট্রেকিং করে কংলাক পাহাড়-এ যাওয়া যায়। কংলাক হচ্ছে
সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া । কংলাকে যাওয়ার পথে মিজোরাম সীমান্তের বড় বড়
পাহাড় , আদিবাসীদের জীবনযাপন, চারদিকে মেঘের আনাগোনা পর্যটকদের দৃষ্টি
কেড়ে নেয়। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত আদিবাসীদের উৎসবের সময় তাদের
সংস্কৃতির নানা উপকরণ পর্যটকরা উপভোগ করতে পারেন ।
সাজেক এর রুইলুই পাড়া থেকে দুই থেকে আড়াই ঘন্টার ট্রেকিং করে দেখে আসতে পারেন সুন্দর কমলক ঝর্ণাটি। কমলক ঝর্ণাটি অনেকের কাছে পিদাম তৈসা ঝর্ণা অথবা সিকাম তৈসা ঝর্ণা নামে পরিচিত। এছাড়াও হেলিপ্যাড, কংলাকপাড়া (কংলাক হচ্ছে সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া মেঘ দেখার জন্য সবচেয়ে আদর্শ জায়গা এটি), সাজেক এর শেষ গ্রাম কংলক পাড়া।
সাজেক থেকে ফেরার পথে রিছাং ঝর্ণা, হাজাছড়া ঝর্ণা, আলুটিলা গুহা, ঝুলন্ত ব্রীজ, তারেং, দেবতার পুকুর, নিউজিল্যন্ড পাড়া, রক গার্ডেন, লুসাই হেরিটেজ পার্ক, দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ ও দীঘিনালা বনবিহার দেখে আসতে পারেন।
সাজেক এর রুইলুই পাড়া থেকে দুই থেকে আড়াই ঘন্টার ট্রেকিং করে দেখে আসতে পারেন সুন্দর কমলক ঝর্ণাটি। কমলক ঝর্ণাটি অনেকের কাছে পিদাম তৈসা ঝর্ণা অথবা সিকাম তৈসা ঝর্ণা নামে পরিচিত। এছাড়াও হেলিপ্যাড, কংলাকপাড়া (কংলাক হচ্ছে সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া মেঘ দেখার জন্য সবচেয়ে আদর্শ জায়গা এটি), সাজেক এর শেষ গ্রাম কংলক পাড়া।
সাজেক থেকে ফেরার পথে রিছাং ঝর্ণা, হাজাছড়া ঝর্ণা, আলুটিলা গুহা, ঝুলন্ত ব্রীজ, তারেং, দেবতার পুকুর, নিউজিল্যন্ড পাড়া, রক গার্ডেন, লুসাই হেরিটেজ পার্ক, দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ ও দীঘিনালা বনবিহার দেখে আসতে পারেন।
![]() |
কংলাক পাহাড় |

+88 01811 03 03 03 (গাড়িভাড়া ডট.কম)+88 01820-732 043 (নূর আলম) ,
+88 01820741662,+88 01849 878 649 (রাজ), +88 01828 829 908 (হানিফ)
+88 01867 135 214 (মিধল), +88 01820 746744 (শিবু)
সাজেক ভ্রমণে পরামর্শ ও সতর্কতা
1. ভ্রমনে যাওয়ার আগেই থাকার রুম বুকিং দিয়ে রাখুন (ছুটির দিনে ভিড় থাকে)।2. পাহাড়ি দুর্গম এলাকা তাই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সাথে রাখুন।
3. সাজেকে বিদুৎ নেই, অনেক কটেজে সোলার ব্যবস্থা থাকলেও চার্জ হতে অনেক সময় লাগে আর সহজলভ্যও নয়। তাই সাথে পাওয়ার ব্যাংক/ব্যাকআপ ব্যাটারী রাখতে পারেন।
4. সাজেকে শুধুমাত্র রবি ও টেলিটক এর নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। তাই সাথে করে এই দুইটির যে কোন একটা সিম সাথে রাখুন।
5. সাজেক যাবার পথ অনেক আঁকাবাঁকা ও উঁচু নিচু এবং বিপদজনক তাই ভ্রমনে সতর্ক থাকুন।
6. আদিবাসীদের ছবি তোলার ক্ষেত্রে তাদের অনুমতি নিয়ে নিন। অনুমতি ছাড়া ছবি তুলবেন না।
7. যাবার পথে কয়েক জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প আছে।নিরাপত্তার সার্থে সেখানে ভ্রমণকারী সদস্যদের কিছু তথ্য জমা দিতে হয়। জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি সাথে রাখুন।
8. ঈদ বা বিভিন্ন অকেশনে ভাড়া কম বেশি হতে পারে।
পাহাড়ে আদিবাসীদের জীবন-আচার, পোশাক ইত্যাদি নিয়ে কোনো মন্তব্য বা হাসি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এমনকি অনেক জায়গায় সাধারণ হাসিও বিপদের কারণ হতে পারে। সাজেক ভ্যালির পেছনে পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে ছোট্ট একটি গ্রাম, পাঁচ-সাতটি ঘর মাত্র। সেখানে দেখা মিলবে ‘টপলেস’ পোশাক পরিহিত উপজাতি জনগোষ্ঠী। কোনো কারণে তাদের সঙ্গে দেখা হয়ে গেলেও স্বাভাবিক থাকুন। এ পর্যায়ে হাসিকে ব্যঙ্গ হিসেবে মনে করে তারা আক্রমণাত্মক আচরণ করতে পারে।
লেখক----- সাইফুল ইসলাম ভূঁঞা
সহঃ শিক্ষক (গণিত)
অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়
ছাগলনাইয়া, ফেনী
No comments:
Post a Comment