চট্টগ্রাম থেকে ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে পাহাড়ী শহর বান্দরবানের অবস্থান। এ জেলার আয়তন ৪৪৭৯ বর্গ কিলোমিটার। বান্দরবান জেলার উত্তরে রাঙ্গামাটি জেলা, দক্ষিণে আরাকান (মায়ানমার ) পূর্বে ভারতের মিজোরাম ও মায়ানমার, পশ্চিমে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা।
কি ভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে বান্দরবান যেতে আপনি ৩ টি রুট ব্যবহার করতে পারেন। ঢাকা থেকে ট্রেনে, বাসে বা প্লেনে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান।
চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান:
বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে পূরবী এবং
পূর্বাণী নামক দুটি ডাইরেক্ট নন এসি বাস আছে ১ ঘন্টা পর পর বান্দরবানের
উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়। ভাড়া জনপ্রতি–৯০ টাকা।
প্রতিদিন ভোর ৬ টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত প্রতি ১ ঘন্টা পর পর
এই পরিবহনের বাসগুলো চট্টগ্রাম-বান্দরবান-চট্টগ্রাম রুটে যাতায়াত করে।
রেলপথ
ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবান রেল যোগাযোগ
ব্যবস্থা নেই। ঢাকা থেকে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর সেখান থেকে পূরবী বা
পূবার্নী বাসযোগ সরাসরি বান্দরবান যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থান:
নীলগিরি:
বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৪৭ কি:মি: দক্ষিণ পূর্বদিকে লামা উপজেলার অংশে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ২২০০ ফুট উপরে বাংলাদেশের নতুন পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরির অবস্থান। যাকে বাংলাদেশের দার্জিলিং হিসাবে অবহিত করা যায়। যেখানে পাহাড় আর মেঘের মিতালী চলে দিনরাত। আপনিও ঘুরে আসতে পারেন ঐ মেঘের দেশে। তবে যারা মেঘ ভালোবাসেন তারা জুন–জুলাইতে অর্থাৎ বর্ষাকালে ভ্রমণে গেলে বেশী মজা পাবেন। কারন মেঘ তখন আপনা হতে এসে আপনাকে
ধরা দিয়ে যাবে।
বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৪৭ কি:মি: দক্ষিণ পূর্বদিকে লামা উপজেলার অংশে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ২২০০ ফুট উপরে বাংলাদেশের নতুন পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরির অবস্থান। যাকে বাংলাদেশের দার্জিলিং হিসাবে অবহিত করা যায়। যেখানে পাহাড় আর মেঘের মিতালী চলে দিনরাত। আপনিও ঘুরে আসতে পারেন ঐ মেঘের দেশে। তবে যারা মেঘ ভালোবাসেন তারা জুন–জুলাইতে অর্থাৎ বর্ষাকালে ভ্রমণে গেলে বেশী মজা পাবেন। কারন মেঘ তখন আপনা হতে এসে আপনাকে
ধরা দিয়ে যাবে।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২০০ ফুট উচ্চে অবস্থানের কারণে নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র
সর্বদা মেঘমণ্ডিত আর এটাই এই পর্যটন কেন্দ্রের বিশেষ আকর্ষণ। একবিংশ
শতাব্দীর শুরু থেকে নীলগিরি ধীরে ধীরে দেশব্যাপী মানুষের কাছে পর্যটন
কেন্দ্র হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে।এই পুরো পর্যটন কেন্দ্রটিই প্রতিষ্ঠা করেছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
এবং তারাই এর পরিচালনা করে থাকেন। এই পর্যটন কেন্দ্রটি বান্দরবান জেলা সদর
থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে কাফ্রুপাড়াসংলগ্ন পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত। বান্দরবানের আলীকদম থেকে থানচীগামী রাস্তা ধরে পাহাড়ী পথে নীলগিরি পৌঁছানো যায়।
নীলাচল ----
নীলাচল পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবান জেলা প্রশাসনের তত্ববধায়নে বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে টাইগারপাড়ার পাহাড়চূড়ায় গড়ে তোলা হয়েছে আকর্ষণীয় এই পর্যটন কেন্দ্র।
বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় অন্যতম দর্শনীয় স্থান। এখানে
নীলাচল-কে-বাংলার-দার্জিলিং বললে বোঝা যায় এর সৌন্দর্য। ২০০৬ সালের পহেলা জানুয়ারি এই প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। এ প্রকল্পে রয়েছে শুভ্রনীলা,‘ঝুলন্ত নীলা’, ‘নীহারিকা’ এবং ‘ভ্যালেন্টাইন পয়েন্ট’ নামে পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় বিশ্রামাগার। কমপ্লেক্সের মাঝে বাচ্চাদের খেলাধুলার ব্যবস্থা এবং বসার ব্যবস্থা রয়েছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সাজানো হয়েছে এ জায়গাগুলো। ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে সামনের পাহাড়ের দৃশ্যও ভিন্ন ভিন্ন রকম। একটি থেকে আরেকটি একেবারেই আলাদা, স্বতন্ত্র। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬শ’ ফুট উঁচু এই জায়গায় বর্ষা, শরৎ কি হেমন্ত— তিন ঋতুতে ছোঁয়া যায় মেঘ।
নীলাচল থেকে সমগ্র বান্দরবান শহর একনজরে দেখা যায়। মেঘমুক্ত আকাশে কক্সবাজারর সমুদ্রসৈকতের অপুর্ব দৃশ্য নীলাচল থেকে পর্যটকেরা উপভোগ করতে পারেন। নীলাচলে বাড়তি আকর্ষণ হল এখানকার নীল রং এর রিসোর্ট। নাম নীলাচল স্কেপ রিসোর্ট। সাধারণ পর্যটকদের জন্য এ জায়গায় সূর্যাস্ত পর্যন্ত অনুমতি আছে।
বগালেক
সমুদ্র
পৃষ্ঠ
থেকে
প্রায়
৩
হাজার
ফুট
উঁচু
পাহাড়ে প্রাকৃতিক ভাবে
সৃষ্ট
বগালেক। কেওকারাডাং এর
কোল
ঘেঁষে
বান্দারবান শহর
থেকে
প্রায়
৭০
কিলোমিটার দূরে
এবং
রুমা
উপজেলা
সদর
থেকে
প্রায়
১৮
কিলোমিটার দূরে
এর
অবস্থান।
পাহাড়ের উপরে
প্রায়
১৫
একর
জায়গা
জুড়ে
বগালেক। এ
পানি
দেখতে
প্রায়
নীল
রঙের।
এ
লেকের
পাশে
বাস
করে
পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র উপজাতীয় বম
ও
খুমী
সম্প্রদায়। অদ্ভুদ সুন্দর
এই
নীল
রঙ্গের
লেকের
সঠিক
গভীরতা
বের
করা
যায়নি
এখনও
পর্যন্ত। স্থানীয়ভাবে দুইশ’
থেকে
আড়াইশ’
ফুট
বলা
হলেও
সোনার
মেশিনে
১৫১
ফুট
পর্যন্ত গভীরতা
পাওয়া
গেছে।
এটি
সম্পূর্ণ আবদ্ধ
একটি
লেক।
এর
আশেপাশে পানির
কোন
উৎসও
নেই।
তবে
বগালেক
যে
উচ্চতায় অবস্থিত তা
থেকে
১৫৩
মিটার
নিচে
একটি
ছোট
ঝর্ণার
উৎস
আছে
যা
বগাছড়া (জ্বালা-মুখ) নামে পরিচিত। সবচেয়ে মজার
বিষয়
হচ্ছে
লেকের
পানি
প্রতি
বছর
এপ্রিল
থেকে
মে
মাসে
হয়ে
যায়
ঘোলাটে।
রাত্রি যাপনের জন্য
বগালেকে জেলা
পরিষদের অর্থায়নে একটি
রেষ্টহাউস নির্মান করা
হয়েছে। এছাড়া
স্থানীয় বম
উপজাতী
সম্প্রসাদায় কিছু
ঘর
ভাড়ায় দিয়ে
থাকে
।
বগালেকের পাড়েই
বসবাসরত বম
সম্প্রদায় পর্যটকদের জন্য
রান্না-বান্নার ব্যবস্থা করে থাকে ।
রুমা
বাজার
থেকে
প্রয়োজনীয় শুকনো
খাবার
ক্রয়
করে
নেওয়াই শ্রেয়।
উল্লেখ্য যে,
নিরাপত্তার জন্য
রুমা
ও
বগালেক
সেনা
ক্যাম্পে পর্যটকদের রিপোর্ট করতে
হয়।
স্থানীয় গাইড
ছাড়া
পায়ে
হেটে
রুমা
থেকে
অন্য
কোন
পর্যটন
কেন্দ্রে যাওয়া
উচিত
নয়শৈলপ্রপাত
বান্দরবান রুমা সড়কের ৮ কিলোমিটার দূরে শৈলপ্রপাত অবস্থিত। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব সৃষ্টি। ঝর্ণার হিমশীতল পানি এখানে সর্বদা বহমান। এই ঝর্ণার পানিগুলো খুবই স্বচ্ছ এবং হীম শীতল। বর্ষাকালে এ ঝর্ণার দৃশ্য দেখা গেলেও ঝর্ণাতে নামা দুস্কর, বছরের বেশীর ভাগ সময় দেশী বিদেশী পর্যটকে ভরপুর থাকে। রাস্তার পাশে শৈল প্রপাতের অবস্থান হওয়ায় এখানে পর্যটকদের ভিড় বেশী দেখা যায়। এখানে দুর্গম পাহাড়ের কোল ঘেশা আদিবাসী বম সম্প্রদায়ের সংগ্রামী জীবন প্রত্যক্ষ করা যায়।
মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স
বান্দরবান- কেরানীহাট সড়কের পাশে পাহাড়বেষ্টিত স্বচ্ছজলোর মনোরম লেক। বান্দরবান
শহর থেকে ৪.৫ কিলোমিটার দূরে এই কমপেস্নক্স রয়েছে চিত্তবিনোদনের নানাবিধ উপকরণ। জেলা
প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে একটিচিড়িয়াখানাসহ পর্যটন কেন্দটি পরিচালিত হচ্ছে।
প্রবেশ মূল্য : জনপ্রতি ৩০ টাকা
অবস্থান : শহর এথেক ৪ কি: মি: দূরে জেলা পরিষদের বিপরীতে সুন্দর মনোরম পরিবেশে অবস্থিত।
বিশেষ আকর্ষণ : এখানে একটি মনোরম কৃত্রিম হ্রদ, শিশু পার্ক, সাফারী পার্ক, পেডেল বোট, ঝুলন্ত ব্রিজ , চিড়িয়াখানা, পিকনিক স্পট রয়েছে।
তাজিংডং
No comments:
Post a Comment