খুব কম খরচে ঘুরে আসুন টাঙ্গুয়ার হাওড়,নীলাদ্রি লেকসহ সুনামগঞ্জের সবগুলো দর্শনীয় স্থান। (বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন) - সাইফ ব্লগ

Latest

Sunday, September 6, 2020

খুব কম খরচে ঘুরে আসুন টাঙ্গুয়ার হাওড়,নীলাদ্রি লেকসহ সুনামগঞ্জের সবগুলো দর্শনীয় স্থান। (বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন)

পাহাড় ,নদী আর হাওড়ের জন্য প্রসিদ্ধ সুনামগঞ্জ জেলায় রয়েছে বারিক্কা টিলা , জাদুকাটা নদী ,শিমুল বাগান ,  নীলাদ্রি লেক ,  লাকমা ছড়া, টাঙ্গুয়ার হাওড়,হাছন রাজার জাদুঘর  সহ বেশ কয়েকটি প্রসিদ্ধ স্থান

অনেকে ভাবে সুনামগঞ্জের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরতে বুঝি অনেক টাকা খরচ হবে। তাদের জন্যই আমার এ টিপস  । ইচ্ছে করলে একদিনেই সুনামগঞ্জের সবগুলো স্পট ঘুরা সম্ভব । 

সেক্ষেত্রে আপনাকে খুব ভোরে সুনামগঞ্জ পৌছাতে হবে। আপনি যদি দুইদিন সময় নিয়ে আসেন তবে অনেক আরামদায়ক ভ্রমণ করতে পারবেন।  এখানে রয়েছে হাওড়ের তরতাজা হরেক রকমের ছোট বড় মাছ। দাম খুব সস্তা তাই অল্প টাকায় এখানে খাবারের পর্ব সেরে নিতে পারবেন। 

আসুন দেখে নিই কিভাবে অল্প টাকায় সুনামগঞ্জ ঘুরবেন।

দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে প্রথমে  সিলেট আসতে হবে। 

যদি ট্রেনে আসেন তবে  সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে  কুমারগাও বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত যেতে হবে সুনামগঞ্জের বাসে উঠার জন্য  ভাড়া- ১৫০ (একজন ৭৫) 

কুমারগাও থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত একজনের ভাড়া  - ১০০ টাকা লোকাল বাসে   (বি আর টি সি এসি বাস ১৬০ টাকা একজন)

সুনামগঞ্জ সুরমা ব্রীজ থেকে মোটরসাইকেলে শিমুল বাগান, বারিক্কা টিলা,জাদুকাটা নদী,  নীলাদ্রি লেক, লাকমাছড়া ভাড়া -  ২৫০ টাকা দুইজন (একজন ১২৫ টাকা) + ফেরী ভাড়া একজন ১০ টাকা । 

আগের মোটর সাইকেলের ড্রাইভারের সাথে দাম করে নিতে হবে এবং সব স্পটের ব্যাপারে বলতে হবে। 

সন্ধ্যা পর্যন্ত স্পটগুলো ঘুরে বড়ছড়া বাজারে হোটেলে থাকতে পারেন ।

বড়ছড়া বাজারে হোটেল ভাড়া- একজন ১৫০-২০০ টাকা । 

বড়ছড়া বাজারের পাশেই মেঘালয় পাহাড় ঘেষে রয়েছে মেঘালয় রেস্ট হাউজ । এখানে আমরা ছিলাম । এখানকার পরিবেশ খুবই সুন্দর । ঘরোয়া পরিবেশ। মনে হবে আপনি ভারতের ভিতরে  আছেন। 



পরদিন সকালে  বড়ছড়া বাজার থেকে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে যাওয়ার জন্য বড়ছড়া বাজার থেকে  ডাম্পের বাজার যেতে হবে মোটর সাইকেল ভাড়া একজন ১০ টাকা । 

ডাম্পের বাজার থেকে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে যাওয়ার জন্য ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়া নিতে হবে ভাড়া নিবে ৮০০-১০০০ টাকা , দামাদামি করে নিতে হবে। এক নৌকায় ৭-৮ জন যেতে পারবেন । 

এক ঘন্টার মধ্যে টাঙ্গুয়ার হাওড় পৌছে যাবেন । টাঙ্গুয়ার হাওড় নেমে ওয়াচ টাওয়ারে উঠে পুরো হাওড়ে চোখ ভুলিয়ে নিতে পারেন । টাঙ্গুয়ার হাওড়ের একপাশে প্রাচীরের মত দাঁড়িয়ে আছে ভারতের মেঘালয় পাহাড় যা হাওড়ের সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিয়েছে। হাওড়ের মাঝে মাঝে বাড়িগুলোকে এক একটি দ্বীপের মত মনে হয়। 


 

টাঙ্গুয়ার হাওড়ে রয়েছে একটি জলাবন এখানে ছোট নৌকা ভাড়া করে বনের ভিতরে ঘুরতে পারেন । একঘন্টার মত ঘুরে ১০০ টাকা দিলে মাঝিরা খুশি। 

এরপর হাওড়ের নীল শীতল জলে ঘা ভিজিয়ে হাওড় থেকে ফিরে আসার প্রস্তুতি নিন। 

মন চাইবেনা ফিরে আসতে। টাঙ্গুয়ার হাওড়ের নয়নকাড়া সৌন্দর্য্য যেকোন প্রকৃতি প্রেমীকে পাগল করে তুলবে। 


 

হাওড় থেকে সরাসরি ডাম্পের বাজার চলে আসুন এখান থেকে সুনামগঞ্জে যাওয়ার মোটর সাইকেল পাওয়া যায় । ইচ্ছে করলে যাওয়ার পথে আবার লাকমাছড়া, নীলাদ্রি লেক, বারিক্কা টিলা , শিমুল বাগান ঘুরে যেতে পারেন। সুনামগঞ্জ পর্যন্ত ভাড়া নিবে দুইজন ২৫০ টাকা। 

মোটর সাইকেল সুরমা ব্রীজের পাশে নামিয়ে দিবে এখান থেকে পায়ে হেটে বা অটোতে করে হাছন রাজার বাড়ি চলে যেতে পারেন  অটো ভাড়া নিবে ২০-৩০ টাকার মত। 

হাছন রাজার জাদুঘর ঘুরে বাসে লোকাল বাসে একজন ১০০ টাকা অথবা বি আর টি সি বাসে করে সিলেট কুমারগাও বাস স্ট্যান্ডে চলে আসুন । 

কুমারগাও থেকে ১০০ টাকা সিএনজি অটোতে রেল স্টেশন চলে আসতে পারেন । আসার সময়  ইচ্ছে করলে সিলেটের বিখ্যাত পাঁচভাই অথবা পানশী রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার সেরে নিতে পারেন। 

[ বি.দ্র. সুনামগঞ্জ যাওয়ার ক্ষেতে জোড়া মিলিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন । কারন এক মোটর সাইকেলে দুইজনের বেশি যাওয়া যাবেনা। ]



2 comments: