একদিনে খাগড়াছড়ি ভ্রমণ করুন - সাইফ ব্লগ

Latest

Monday, October 21, 2019

একদিনে খাগড়াছড়ি ভ্রমণ করুন



সৃষ্টিকর্তা অকৃপণভাবে সাজিয়েছে খাগড়াছড়িকে। স্বতন্ত্র করেছে বিভিন্ন অনন্য বৈশিষ্ট্যে। এখানে রয়েছে আকাশ-পাহাড়ের মিতালী, চেঙ্গী ও মাইনী উপত্যকার বিস্তীর্ণ সমতল ভূ-ভাগ ও উপজাতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্যতা। যেদিকেই চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আর রহস্যময়তায় ঘেরা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা প্রকৃতিপ্রেমী, অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় বা ভ্রমণবিলাসীদের জন্য আদর্শ স্থান।প্রকৃতির অনন্য সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে এ জেলার আনাচে-কানাচে। এ জেলার বৈচিত্র্যময় জীবনধারা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে বিমোহিত করে।

দর্শনীয় স্থানঃ
1) তৈদুছড়া ঝর্না
2) আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র
3) আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ
4) দেবতার পুকুর
5) মহালছড়ি হ্রদ
6) শতায়ুবর্ষী বটগাছ
7) পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র
8) রিছাং ঝর্না
9) ভগবান টিলা
10) দুই টিলা ও তিন টিলা
11)  মানিকছড়ি মং রাজবাড়ি
12) বন ভান্তের প্রথম সাধনাস্থল
13) রামগড় লেক ও চা বাগান
 14) জেলা পরিষদ পার্ক
15) হেরিটেজ পার্ক
16)নিউজিল্যান্ড পাড়া
17)বৌদ্ধ বিহার ও স্বর্ণ মন্দির
18)আলু টিলা তারেং
19) স্বর্গের সিড়ি হাতি মুড়া


  দেবতার পুকুর  

জেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে খাগড়াছড়ি-মহালছড়ি সড়কের কোল ঘেঁষে মাইসছড়ির নুনছড়ি মৌজার আলুটিলা পর্বতশ্রেণী হতে সৃষ্ট ছোট্ট নদী নুনছড়ি।


প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিতে হাজারো নারী-পুরুষ পূণ্য লাভের আশায় দেবতা পুকুর দর্শনে আসেন। নুনছড়ির সমতল ভূমি হতে প্রায় ৭শ’ ফুট উপরে পাহাড়ের চূড়ায় দেবতা পুকুর। ৫ একর আয়তনের পুকুরটির স্বচ্ছ জলরাশি পর্যটকদের উদাসীন করে তোলে। পুকুরের চারিদিকে ঘন সবুজ বনরাজি। কথিত আছে, স্থাণীয় বাসিন্দাদের জলতৃষ্ণা নিবারণের জন্য জলদেবতা পুকুরটি খনন করেন। পুকুরের পানিকে স্থাণীয় পাহাড়িরা দেবতার আশীর্বাদ বলে মনে করেন।

 তৈদুছড়া ঝর্না
তৈদুছড়া ঝর্না বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় অবস্থিত। ত্রিপুরা ভাষায় তৈদু মানে হল পানির দরজা এবং ছড়া মানে ঝর্ণা।


তৈদুছড়া ঝর্ণা ৩০০ ফুট উঁচু। পাহাড়ের গায়ে অসংখ্য পাথরের ধাপ আছে। এই ধাপ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে নিচে। এই প্রাকৃতিক বৈচিত্রতা তৈদুছড়া ঝর্ণাকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। খাগড়াছড়িতে যে কয়টি দর্শনীয় স্থান রয়েছে তৈদুছড়া তাদের মধ্যে অন্যতম। জঙ্গেলর মাঝে আঁকা বাঁকা পাহাড়ের ভাঁজ দিয়ে বয়ে চলে তৈদুছড়া ঝর্ণার জল। শীতল স্বচ্ছ টলমলে জলের কলকল করে ছুটে চলার শব্দে মুখিরত হয় চারপাশ। ৩০০ ফুট উচু পাহাড় হতে গড়িয়ে পড়া পানি এসে পরে পাথুরে ভূমিতে। অন্য সকল ঝর্ণার মত এর পানি সরাসরি উপর হতে নিচে পড়ে না। পাহাড়ের গায়ে সিড়ির মত তৈরি হওয়া পাথুরে ধাপ গুলো অতিক্রম করে নিচে পড়ে তৈদুছড়া ঝর্ণার পানি। তৈদুছড়া ঝর্ণার ডানপাশ দিয়ে পাহাড়ের উপরে থাংঝাং ঝর্ণা নামে আরেকটি ঝর্ণা আছে। থাংঝাং ঝর্ণার পানি একটা ঝিরি তৈরি করেছে। এই ঝিরির পানি থেকে তৈদুছড়া ঝর্ণার সৃষ্টি হয়েছে।

আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র  ও আলু টিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ 

অপরূপ বাংলার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলা ভূমি পার্বত্য খাগড়াখড়ি জেলা। এ নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর পর্যটন সম্ভাবনাময় ও পাহাড়ের রাণী খ্যাত পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার পর্যটন স্পট আলুটিলা। পাহাড়বাসীর কাছে যেমনি পরিচিত তেমনি দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে শতবছরের বটমূল ও আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র, রহস্যময় গুহার কারণে‍ ‘আলুটিলা’ খুবই পরিচিতি।

খাগড়াছড়ি শহর হতে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা পযর্টন কেন্দ্রে রয়েছে একটি রহস্যময় গুহা। স্থানীয়রা একে বলে মাতাই হাকড় বা দেবতার গুহা। তবে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে অবস্থিত বলে পর্যটকরা একে আলুটিলা গুহা বলেই চিনি। এটি খাগড়াছড়ির একটি নামকরা পর্যটন কেন্দ্র। এটি একটি চমৎকার পিকনিক স্পট। তাই সারা বছরই এখানে ভীড় লেগে থাকে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয়, যা হৃদয় ছুয়ে যায়। আলুটিলা খাগড়াছড়ি জেলার সব চাইতে উচু পর্বত। নামে এটি টিলা হলেও মূলত এটি একটি পর্বতশ্রেণি। আলুটিলার পূর্বের নাম ছিল আরবারী পর্বত। এর সর্বোচ্চ উচ্চতা সমুদ্র সমতল হতে প্রায় ৩০০০ ফুট। আকাশ, পাহাড় আর মেঘের মিতালী এখানে মায়াবী আবহ তৈরি করে।
আলুটিলা রহস্যময় সুগঙ্গে যেতে হলে প্রথমেই আপনাকে পর্যটন কেন্দ্রের টিকেট কেঁটে ভিতরে প্রবেশ করতে হবে। ফটকের দুই পাশে দুটি শতবর্ষী বটবৃক্ষ আছে যা আপনাকে স্বাগত জানাবে। গুহার ভিতর সূর্যের আলো যেতে পারেনা তাই যাবার পূবে অবশ্যই মশাল নিয়ে যেতে হবে। এই সুউচ্চ পর্বতের সর্পিল আকারে আঁকা বাঁকা রাস্তার দু’ধারে সবুজ বনাঞ্চল সারি সারি উঁচু নিচু পাহাড় আর লুকিয়ে থাকা মেঘ আপনার মনকে চুরি করবে। রাস্তা দিয়ে মিনিট খানে হাঁটলেই চোখে পড়বে একটি সরু পাহাড়িপথ। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নীচে নেমে গেছ এই পথটি। এই পথটি বেয়ে নিচে নামলেই চোখে পড়বে একটি ছোট ঝর্না। ঝর্নার পানি নেমে যাচ্ছে নিচের দিকে ঝিরি বরাবর। তবে এখানে পাহাড়ী লোকজন ঝর্নার পানি আটকে রাখার জন্য একটি বাঁধ দিয়েছে। তারা এই পানি খাবার ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করে।
পাকা রাস্তা শেষ হলে আপনাকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে হবে। প্রায় ৩৫০টি সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলে পরে পাওয়া যাবে কাঙ্খিত সেই আলুটিলা গুহা। আলুটিলা গুহাতে যাবার জন্য আগে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নামতে হতো গুহামুখে। কিন্তু এখন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন একটি পাকা রাস্তা করে দিয়েছে। যার ফলে খুব সহজেই হেঁটে যাওয়া যায় গুহা মুখে। এটি একেবারেই পাথুরে গুহা, তাই খুব সাবধানে পা ফেলে সামনে এগুতে হয়। কারণ সুরঙ্গের ভিতরে কোন আলো নেই। সুরঙ্গের তলদেশ পিচ্ছিল এবং পাথুরে। এর তলদেশে একটি ঝর্না প্রবাহমান। তাই খুব সাবধানে মশাল বা আলো নিয়ে গুহা পাড়ি দিতে হবে। পা ফসকে গেলেই আহত হতে হবে। তবে অন্য কোন ভয় নেই। গুহাটি একেবারেই নিরাপদ। আলুটিলার এই মাতাই হাকড় বা দেবতার গুহা সত্যিই প্রকৃতির একটি আশ্চর্য খেয়াল। দেখতে অনেকটা ভূগর্ভস্থ টানেলের মত যার দৈর্ঘ প্রায় ৩৫০ ফুট। গুহার ভীতরে জায়গায় জায়গায় পানি জমে আছে, রয়েছে বড় বড় পাথর। গুহাটির এপাশ দিয়ে ঢুকে ওপাশ দিয়ে বের হতে সময় লাগবে প্রায় ১৫ মিনিট।


  রিছাং ঝর্না
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার অন্যতম পর্যটন স্পট ‘রিছাং ঝর্ণা’। এর অন্য নাম ‘তেরাং তৈকালাই’। রিছাং ঝর্ণা শব্দটি খাগড়াছড়ির মারমা সম্প্রদায়ের ভাষা থেকে এসেছে। মারমা ভাষায় ‘রিই’ শব্দের অর্থ পানি এবং ‘ছাং’ এর অর্থ কোনো কিছু থেকে লাফিয়ে পড়া। অর্থাৎ রিছাং এর বঙ্গানুবাদ করা হলে, উচু স্থান থেকে জলরাশির লাফিয়ে পড়াকে  বোঝাবে।

 এ ঝর্ণা দর্শনীয় স্থান হিসেবে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার মতো না। যার সৌন্দর্যের বিচারে উপেক্ষিত নয়। ২০০৩ সালের দিকে এটি সবার নজরে আসে এবং পরিচিতি লাভ করে। এই ঝর্ণার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো গ্রাম ছিল না। এখন কিছু পরিবারের দেখা পাওয়া যায়। জুম চাষের সুবাদে এ ঝর্ণা সবার নজরে আসে।
প্রকৃতি এই রিছাং ঝর্ণার চারপাশের পরিবেশ এমন সব সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ করে রেখেছে যা দেখে আপনি মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না।

ঝর্ণাতে পৌঁছানের জন্য পুরোটা পথ আপনি গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন না। ঝর্ণার কিছু আগে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে যেতে হবে। পাহাড়ি পথটা মোটেও আরামদায়ক নয়। আপনাকে একটি বাঁশের লাঠি নিয়ে নিতে হবে তাতে পরিশ্রম কম হবে।

 আলু টিলা তারেং


প্রায় ১০০০ফুট উঁচু খাগড়াছড়ির আলুটিলা পাহাড়ের উপর “তারেং” যেখান থেকে আপনি পুরো খাগড়াছড়ি শহরটাকে দেখতে পারেন পাখির চোখে।
এ জায়গায় দাঁড়িয়ে দিগন্তে তাকালে মনে হবে যেন আকাশ পাহাড়ের গায়ে মিশে গেছে। উঁচু নিচু ঢেউ তোলা পাহাড় দূর দৃষ্টির সমতলে সর্পিল বয়ে চলা চেঙ্গী নদী নিমেষেই আপনার মন জুড়িয়ে দিবে।
ত্রিপুরা ভাষায় ‘তারেং’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘উঁচু পাহাড়’। তারেং পর্যটনকেন্দ্রের আশপাশে চোখে পড়বে অসংখ্য জুমখেত। আনারস, কমলা ও সবজির বাগান। জুমখেত আর গভীর অরণ্যে ঘেরা পাহাড়ি গ্রাম অন্য এক জগতে নিয়ে যাবে পর্যটকদের।
অবিরাম ঝিঁ ঝি পোকার ডাক, নানা জাতের পাখির কলরব আর পাতার মর্মরধ্বনি। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে খুব একটা অসাধারণ ভিউ পাওয়া যায় যা হয়তো আপনার মন এবং শরীরকে জুড়িয়ে দেবে


   স্বর্গের সিড়ি হাতি মুড়া


খাড়া উঁচু পাহাড়। দেখতে ঠিক হাতির মাথার মতো। তাই শত শত বছর ধরে স্থানীয় আদিবাসীরা একে ডাকে হাতিমাথা বা হাতিমুড়া নামে। এখানকার পাহাড়ি উঁচু পথকে স্থানীয়রা হাতিমুড়া/মায়ুং কপাল বলে  ডাকে। এখানেই রয়েছে স্বর্গের সিঁড়ি। না, সত্যিকার স্বর্গে যাওয়ার সিঁড়ি নয়, তবে এই সিঁড়ি আপনাকে নিয়ে যাবে পাহাড়ের চূড়ায় অসাধারণ সুন্দর আদিবাসী গ্রামে। স্বর্গের সিঁড়িটি ভূমি থেকে উঠে গেছে সোজা উপরের দিকে। পাহাড়ের গায়ে সবুজ বনের ফাঁকে ফাঁকে খাড়া উঠে যাওয়া এই সিঁড়ির শেষ দেখা যায় না। মনে হয় যেন উপরে স্বর্গেই শেষ হয়েছে সিঁড়িটা। আর তাই একে স্বর্গের সিঁড়ি নামে ডাকা হয়।
খাগড়াছড়ি জেলার উপজেলা সদরের পেরাছরা ইউনিয়নে এই স্বর্গের সিঁড়িটি অবস্থিত। চাকমা ভাষায় যার নাম ‘এদো সিরে মোন’। খাড়া পাহাড় ডিঙিয়ে যাওয়া দুর্গম এই পথটি মূলত ১৫ টি গ্রামের  যাতায়াত পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সদর উপজেলা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম ভাঙ্গামুড়া, বাদলছড়া, মাখন তৈসা পাড়া, কিনাপা পাড়া, হাজা পাড়া, বগড়া পাড়া, কেশব মহাজন পাড়া, সাধুপাড়া, কাপতলা পাড়ার মানুষের জীবন যাত্রাকে সহজ করার জন্য সরকারী উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে ৩০৮ ফুট লম্বা লোহার তৈরি এই সিঁড়ি।
আনুমানিক ১২০-১১০ ডিগ্রি এঙ্গেলের খাড়া প্রায় ৩০০ সিঁড়ি বেয়ে হাতিমাথা পাহাড়ের উঠতে হয়।  হিমশীতল এই সিঁড়ি বেয়ে যখন পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে থাকবেন তখন নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আপনার চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। বনের মাঝে এঁকেবেঁকে যাওয়া এই সিঁড়িটি দেখতে ভয়ংকর লাগলেও আসলে তেমনটা নয়। একটু সাবধানতা বজায় রেখে উঠলেই হবে। এই আঁকাবাঁকা সিঁড়ি দিয়ে পাহাড়ি পথে চলার সময় মনে হবে যেন স্বর্গের সৌন্দর্য ধরা দিয়েছে মর্ত্যলোকে। একটু ভিন্ন আমেজের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা পেতে তাই আপনাকে ঘুরে আসতে হবে এই স্বর্গের সিঁড়ি থেকে।
 জেলা পরিষদ পার্ক


 খাগড়াছড়ির জনপ্রিয় এই পার্কটি ২২ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই পার্কটি জেলা শহরের জিরোমাইল এলাকায় অবস্থিত। এখানে রয়েছে একটি ঝুলন্ত ব্রিজ ও পানির ফুয়ারা। বিনোদনের নানা উপকরণ দিয়ে সাজানো গোছানো পার্কটিতে বন্ধু বান্ধব পরিবার পরিজন সহ ঘুরে আসতে পারেন। রয়েছে পিকনিকের ব্যবস্থাও। শিশুদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে কিডস জোন এছাড়া কৃত্রিম হ্রদ, পিকনিক স্পট, গেস্ট হাউজ, হলরুম, বার্ডস পার্ক ও অবজারবেশন টাওয়ার রয়েছে। টয় ট্রেনে চড়ে চারপাশে প্রাকৃতিক দৃশ্যও দেখতে পারেন। রয়েছে ওপেন স্টেজে নানা প্রোগ্রাম উপভোগের সুযোগ। এবং ফুড জোনে রয়েছে ঐতিহ্যবাহি নানা খাবারের স্বাদ গ্রহণের সুযোগ ও।


আরো আসছে..................................................................................................................।